বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ রাকিবুল হাসানঃ— প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস রোগটি ক্রামেই বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে । কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে না পারলে এই ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশকে মহা-বিপদজনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হতে পারে বলেও এমন আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বব্যাপী এই কভোডি-১৯ রোগটি যেভাবে ভয়ংকর তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে সমগ্র বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা একাবারেই পুঙ্গ করে ফেলেছে এমনটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ভাইরাসটির বিস্তার প্রতিরোদের লক্ষ্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানগণ হিমশিম খাচ্ছে তাতে করে কোন কিছুতেই তেমন সুফল আসছে না। ফলে সারা দুনিয়ার সমগ্র যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ।
আমাদের বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এই করোনা ভাইরাস রোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছেন। দেশের সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ সহ সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ ঘোষনা করেছেন। প্রায় সারা দেশে লকডাউন এর আওতায় আনা হয়েছে । এমন অবস্থায় কোন মানুষ যেন বাড়ির বাহিরে না যায় তার জন্য সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। সর্বপরি দেশব্যাপী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেদের তৎপড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যাতে করে সবাই সরকার ঘোষিত সকল নিয়নকানুন মানিয়া চলেন এব্যাপারে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা সকল মানুষদেরকে নানা ভাবে সহযোগিতা করছে।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভবের ফলে চিরচেনা এলাকা কেমন যেন অচেনা মনে হয় এমন চিত্রই বিভিন্ন এলাকাতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাভার-আশুলিয়া এলাকা মুলতঃ শিল্প এলাকা । সাভার-আশুলিয়ায় দেশের অন্যতম বড় ঢাকা ইপিজেড অবস্থিত। এই ইপিজেডকে কেন্দ্র করে সাভার-আশুলিয়ায় বহু শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আশুলিয়ার, পল্লীবিদ্যুৎ, নবীনগর, বাইপাইল, জামগড়া সহ বিভিন্ন এলাকাতে প্রতিদিন সকালে হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় পা ফেলানোর জায়গা পাওযা যায়না। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের ফলে এই এলাকার চিত্র একাবেরেই বদলে গেছে। কেমন যেন সব কিছু অচেনার মত মনে হয়।
সরজমিনে দেখা গেছে, আশুলিযার ডেন্ডাবর (পল্লীবিদ্যুৎ) এলাকায় প্রায় সকল প্রকার বড় বড় মার্কেট বন্ধ রয়েছে । শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার, ঔষধ এর দোকান ছাড়া আর তেমন কোন দোকান পাঠ খোলা নেই বললেই চলে। কোন মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাহিরে যেন চলাচল না করে এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ মাইকিং করা সহ বিভিন্ন ভাবে এলাকার জনসাধারণদের করোনা ভাইরাস রোগের ভয়াবহতা সর্ম্পকে সচেতন থাকার ব্যাপারে আপ্রাণ চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছে।
পল্লীবিদ্যুৎ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রিক্সা চালক মোঃ শফিকুর রহমান বলেন যে, আমরা রিক্সা চালিয়ে আমাদের সংসার চালিয়ে থাকি। কিন্তু এই করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা রিক্সা চালিয়ে তেমন আয় রোজগার করিতে পারিনা । তিনি আরও বলেন যে, আমরা যেহেতু রিক্সা চালিয়ে সংসার পরিচালনা করি সেহেতু আমাকে রিক্সা নিয়ে রাস্তায় বাহির হতেই হয় কিন্তু করোনা ভাইরাসে কারণে মানুষ জন তেমন বাহিরে বের হয় না যার ফলে আমাদের তেমন রুজি নেই বললেই চলে । এছাড়াও তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস রোগটি হতে আল্লাহ আমাদের সবাইকে রেহাই দিবেন এমনটাই তিনি কামনা করেন।
(কোভিড-১৯) মহামারী রোগের আতঙ্ক আমাদের সবার মাঝেঁ রয়েছে । তাই এব্যাপারে আমাদের সবাইকে নিজ দায়িত্বে সচেতন থাকতে হবে । নিজে সুস্থ্য থাকতে হবে ও পরিবার পরিজনদের সুস্থ্ সহ কোন মানুষ যেন এই রোগে আক্রান্ত না হয় সেজন্য আমরা সরকার ঘোষিত সকল প্রকান নিয়মকানুন মানিয়ে চলিব । সেই সাথে আমাদের চিরচেনা এলাকাগুলো আবার পুনরায় পুর্বের ন্যায় ফিরে আসবে এমনটাই আমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি ।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply